আরও পড়ুন: কৃষি নিয়ে জানতে পারেন সামাজিক মাধ্যম থেকে

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা গত মাসের প্রথম দিক থেকে এ সরিষার বীজ বোপন করেন। এসব সরিষার মধ্যে রয়েছে, বারি-১৪, বারি ১৫, বারি ১৭ ও টোরি-৭। যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ শষ্য ভাণ্ডার নামে খ্যাত উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সরিষা চাষাবাদ বেশি করা হয়েছে।

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব সরিষা কাটা ও মাড়াই করা হবে। সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারে এ নতুন সরিষার দাম ভালো পাওয়া গেলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।

আর েপড়ুন:  দেশে কাজু বাদাম চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল: কৃষিমন্ত্রী

এদিকে, মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারোহ ঘটায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, মাগুড়া, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ খামারীরা এসেছেন। এসব মৌ খামারীরা উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জে মধু সংগ্রহে কাজও শুরু করেছেন।

দিনাজপুরের ভাই ভাই আদর্শ মৌ খামারি মিনারুল ইসলাম জানান, এবার এ অঞ্চলে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছেন।

আরও পড়ুন: দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

উল্লাপাড়া উপজেলা মৌ চাষি মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন জানান, উল্লাপাড়ায় প্রায় ১শ মৌ খামার রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খামারগুলো মিলে প্রায় আড়াইশ মৌ খামার বসেছে। এবার খামার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লাপাড়াসহ ওই অঞ্চলে মৌ খামারগুলো ১৫শ থেকে ১৭শ টন মধু উৎপাদন হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, উৎপাদিত এ মধু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।

আরও পড়ুন: আলুর দাম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করব: কৃষিমন্ত্রী

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হানিফ জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদে বাম্পার ফলন হতে পারে। সেইসাথে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।